সু-সন্তান তৈরির জন্য পরিবার একটি প্রাথমিক ও ক্ষুদ্র কারখানা। কাজেই করখানার যন্ত্রপাতি ও পরিচালনার উপড় নির্ভর করে উৎপাদিত পণ্যের মান। তাই একটি পরিবারের পরিচালক বা পিতা-মাতা,ভাই-বোন সবাইকে একটা আদর্শিক দিক অনুস্মরন করে চলতে হবে, তাহলেই সমাজে অব্শ্যই এর ভাল দিক প্রতিফলিত হবে নিঃসন্দেহে।
সন্তান কখনও একবারে বড় হয় না,বিভিন্ন ধাপে ও দশায়,সময়ের স্রোতে পরিনত বয়সের দিকে এগিয়ে চলে,আর তখনই পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য বেড়ে যায়। নরম কাদা দিয়ে কুমোর-কুমোড়ী যে ভাবে মাটির সামগ্রী তৈরি করে,ঠিক সেভাবেই পিতা-মাতা কর্তৃক একাধিক সন্তানকে আদর্শিক ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। সন্তানকে পিতা-মাতার স্নেহের শাসন দ্বারা ভাল মন্দ বুঝানোর প্রশিক্ষন দিতে হবে,তবে এক্ষেত্রে পিতা ও মাতার মধ্যে ঐক্য থাকা আবশ্যক। পিতা- মাতাকে সন্তানের সামনে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। সংসারের অভাব অনটন থাকবেই, তাইবলে এটা সন্তানকে অবহিত না করাই ভাল,একদিন ওরা অমনিতেই বুঝতে পারবে। মিতব্যায়ী হওয়ার উপদেশ দিতে হবে এবং অতিরিক্ত শখ আহল্লাদ পূরনের কোন আবদার কৌশলে এড়িয়ে যেতে হবে। খেলার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান এবং সমাজের বাস্তব পেক্ষাপট তুলে ধরতে হবে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষামুলক বই পুস্তক পড়ার জন্য উৎসাহ যোগাতে হবে। অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার ক্ষেত্রে সন্তানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে, এর জন্য পিতা-মাতাকেও নিয়মিত ধর্মীয় নির্দেশ,চর্চা ও দায়িত্ব,নিষ্টার সহিত পালন ও লালন করতে হবে। ঘরে ও বাইরের সদাচারণের প্রটোকল পরিবার থেকেই শিক্ষা দিতে হবে।
পিতা-মাতাকে সন্তানদের পিছনে সময় দিতে হবে,যথাসম্ভব একসাথে খাওয়ার তরিকা চালু রাখতে হবে।প্রতিদিন রাত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পৃথক পৃথক ভাবে তাদের সময় ও কাজের হিসাব নিতে হবে এবং পরবর্তী দিনে তাদের কাজের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করতে হবে। তাই বলে তাদেরকে কর্মচারী মনে করা যাবে না বা অন্য কোন সদস্যের সামনে তাদেরকে অপমানজনক কথা বার্তা বলা যাবেনা। প্রয়োজনে সপ্তাহে একবার হলেও পরিবারের সকলে মিলে আত্মসমালোচনা মূলক বৈঠক করা যেতে পারে।
উপরোক্ত সামান্য ইংগিতের মাধ্যমে পিতা-মাতার জন্য সু-সন্তান উপহার দেওয়া সম্ভব,যদি আল্লাহ তাআলা সাহায্য করেন।
