মহাকাশচারী— নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স কাস্টমসের লাইনে


 বিমানবন্দরে কাস্টমসের লাইনের কথা অনেকেই জানেন। ভিন দেশ বা রাজ্য থেকে কোনো পণ্য আনলে প্রয়োজন শুল্কদপ্তরের ছাড়পত্র।তারিখটা কয়েক দিন আগের, ২৪ জুলাই। সাল ১৯৬৯। চন্দ্রবিজয় করে সবে ফিরেছেন ‘অ্যাপোলো ১১’-র তিন মহাকাশচারী— নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। ৮ দিনের মহাকাশযাত্রা। মাঝে ২০ জুলাই প্রায় ২২ ঘণ্টা কেটেছে চাঁদে। উত্তেজনা ও ধকলে কাবু তিনজনে। কিন্তু, সরকারি নিয়ম বড় বালাই! পৃথিবীতে নামার পর কোথায় তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে, তা নয় যেতে হল কাস্টমসের লাইনে। সেখান থেকে ফিরে এসে তারপর ফুল-মালার পালা।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এলো ওই ফর্মের ছবি। সৌজন্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখা দ্বিতীয় মহাকাশচারী এডউইন ‘বাজ’ অলড্রিন। এত দিন পর সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই ট্যুইটারে রসিকতা করেছেন ‘অ্যাপোলো ১১’-র চালক অলড্রিন। লিখেছেন, ‘একবার ভাবুন, আটদিন আমরা মহাকাশে কাটিয়েছি। প্রায় ২২ ঘণ্টা চাঁদে ছিলাম। বাড়ি মানে পৃথিবীতে ফিরেছিলাম কেবল কাস্টমসে যেতে হবে বলে।’

চেনাজানা ইতিহাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা টুকরা মজার খোরাক চোখ এড়ায়নি নেটিজেনদের। অলড্রিনের এই ট্যুইট এখন ভাইরাল। নানা টিপ্পনিও উড়ে এসেছে। একজন বলেছেন, ‘কিছু জিনিস ইতিহাসের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, পেপারওয়ার্ক। ওঁরা এই ফর্ম পূরণ না করলে কি হতো? মহাকাশে ফেরত পাঠিয়ে দিত?’ কারো আবার ঠাট্টা, ‘এসব আসলে মহাকাশচারীদের অটোগ্রাফ সংগ্রহের কায়দা।’

এমন কাণ্ডকারখানা উস্কে দিয়েছে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলও।

সূত্র : বর্তমান

নবীনতর পূর্বতন