নিয়োগপত্র বা যোগদানপত্র কিংবা একাডেমিক সনদ না থাকলেও ১৪ বছর ধরে আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর পদে আছেন সাজিদুর রহমান। যখন যে প্রধান শিক্ষক হন, তাকেই তিনি ম্যানেজ করে ফেলেন। নাজমা বেগমের সময়ও সাজিদুর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল না কারও।
জানতে চাইলে সাজিদুর রহমান তার নিয়োগপত্র বা একাডেমিক সনদপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি কালবেলাকে বলেন, আমাকে বলা হয়েছে, তুমি কী পার? আমি বলেছি, কম্পিউটার চালাতে পারি। তখন আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন আমি কম্পিউটারের কাজগুলো করি। মাদ্রাসায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি কম্পিউটার কোর্স করার পর অন্য একটি চাকরি নিয়েছিলেন। তারপর এখানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমা বেগম সব দায় বিদ্যালয়টির আরেক শিক্ষক সাদ আহমেদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সবকিছু পরিচালনা করেন সাদ আহমেদ। এজন্য বিদ্যালয়ের কোনো টাকা-পয়সা আমার হাত দ্বারা স্পর্শও করিনি। এ ছাড়া ২৮ লাখ টাকা দিয়ে প্রধান শিক্ষক হইনি। অডিওটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বানানো।
নাজমা বেগম বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক পরীক্ষায় ভালো করার পরও সাদ আহমদ আমাকে নিয়োগপত্র দিতে চায়নি, উল্টো টাকা চেয়েছে। তখন আমি হাজী সেলিমকে বিষয়টি জানাই। এতে তিনি ক্ষেপে যান। এক সপ্তাহ পর নিয়োগপত্র দেন। কিন্তু আমাকে অফিসিয়াল কোনো কাগজপত্র বুঝিয়ে দেননি।
বিশেষ ক্লাসের নামে কোনো অতিরিক্ত টাকা নেননি বলে দাবি নাজমা বেগমের। অনুদানের টাকারও কোনো হেরফের হয়নি বলে দাবি তার। গাইড বই চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। অন্য খাতগুলো থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও মিথ্যা দাবি করেন তিনি।
সহকারী শিক্ষক সাদ আহমেদ ২৮ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, নাজমা বেগম তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলেছে, সেগুলো মিথ্যা ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ইস্যুতে অপপ্রচার নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতে উগ্রবাদ চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করে না। ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হবে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এ সরকারের বয়স মাত্র দুই মাস, সংস্কারের জন্য আমাদেরকে একটু সময় দিতে হবে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা সংস্কারসহ বেশকিছু ইস্যু আছে যা অল্প সময়ে সম্ভব না। আমরা আহতদের চিকিৎসায় কাজ করছি, ধীরে ধীরে সব বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের গর্ব শহীদ আবু সাঈদ। আবু সাঈদের এই বিশ্ববিদ্যালয় গণঅভ্যুত্থানের লড়াই শুরু করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক অবহেলিত থাকবে না তাদেরকে সর্বাত্মক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বরাবরই অবহেলিত ছিল রংপুর। রংপুরের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি বাজেট দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ জেলায়। আমাদের লড়াই ছিল এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে। প্রধান উপদেষ্টা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। রংপুরের প্রতি যে অবহেলা সেটি আমরা অবশ্যই দূর করব এবং রংপুরকে বাংলাদেশের উন্নত জেলা ও বিভাগ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশ্বাস দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।