মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে স্বাগতিকরা।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার সাথে টানা দুটি ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে জয় একটি করে। টি-টোয়েন্টিতে জয় এল দুটি, পরপর দুই দিনে।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে সাত উইকেটে মাত্র ১২১ রান করে অস্ট্রেলিয়াা।
সহজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে। প্রথমে দুই বলে শূন্য রানে ফিরেন সৌম্য। পরের তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি মারেন নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে আউট মোহাম্মদ নাঈম। হাল ধরেন সাকিব ও মেহেদী। দুজনে যোগ করেন ৩২ বলে ৩৭ রান। অবশ্য একবার রিভিউ নিয়ে বাঁচেন সাকিব। অ্যাশটন অ্যাগারের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আউট দিয়েছিলেন।দলীয় ৫৮ রানে অবশ্য বিদায় নিতে হয় সাকিবকে। টাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তারকা এই অলরাউন্ডার। ১৭ বলে চারটি চারে ২৬ রান করেন তিনি। পরের ওভারে বিপদ বাড়ান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অ্যাগারের বলে ব্যাটিং ইনসাইডএজ হয়ে ফেরেন তিনি। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
মেহেদী ও আফিফ তখন ক্রিজে। নিজের দ্বিতীয় বল মোকাবিলাতেই আউট হতে যাচ্ছিলেন আফিফ। মিচেল মার্শের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান আফিফ। ফুল লেংথ বল ব্যাটে খেলতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর নেন রিভিউ। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে, বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
আফিফ বাঁচলেও একটু পরই নিজের ভুলে বিদায় নেন মেহেদী। ছক্কা মারার পর শান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই যেন খেই হারালেন। অকারণে তেড়েফুড়ে মারতে গেলেন অ্যাডাম জ্যাম্পাকে। লেগ স্পিনারের বলে লাইন মিস করে হন স্টাম্পড। ২৪ বলে এক ছক্কায় ২৩ রান করেন মেহেদি। ১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ৭১।
ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী তখন নুরুল হাসান সোহান। এই জুটি আর বিপদ বাড়তে দেননি। নান্দনিক ব্যাটিংয়ে দলকে দারুণ জয় উপহার দেন দুজন। এই জুটিতে আসে ৪৪ বলে ৫৬ রান।
৩১ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। ২১ বলে ২টি চারে ২ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।
